20.3 C
New York
Friday, September 20, 2024

Buy now

Home Blog

অল্প পুঁজিতে জীবন পাল্টানো কৃষি ব্যবসার আইডিয়া – Agri Idea

0

অল্প পুঁজিতে কৃষি খাতে একটি ব্যবসা শুরু করতে অথবা লাভজনক ছোট বা মাঝারি কৃষি ব্যবসা আইডিয়া করতে চাইলে আজ আমরা আপনাকে জানাবো এমন কিছু কৃষি ব্যবসার আইডিয়া যা আপনাকে পাল্টিয়ে দিয়ে পারে আপনার জীবনকে। এমন কিছু আইডিয়ার জন্য চলুন দেখে নেই বাংলাদেশে করা যাবে এমন ১০০টি লাভজনক কৃষি ব্যবসার সম্পর্কে।

কৃষি ব্যবসা হল পশুসম্পদ এবং শস্য সম্পর্কীত কৃষি সামগ্রীর মাধ্যমে কৃষি পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন। সবচেয়ে লাভজনক কৃষি ব্যবসার ধারণা যেখানে আপনি ফসল চাষ, উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ, জলজ চাষ, পশু স্বাস্থ্য এবং ফিড, কৃষি-জৈব পণ্য, জৈব প্রযুক্তিগত সার্ভিস, শক্তি-সঞ্চয় এবং পরিবেশগত কৃষি-উৎপাদন ব্যবস্থা ইত্যাদি।

আদিম কাল থেকে মানুষ কৃষির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কৃষি ব্যাপারটা গ্রামের মানুষের রক্তের সাথে মিশে আছে। কৃষির সাথে দেশের অর্থনীতির চাকা এক সাথে গাথা। গাড়ি যেমন চাকা ছাড়া চালানো সম্ভব না তেমনি দেশের অর্থনীতি ও কৃষিকে বাদ দিয়ে চিন্তা করা সম্ভব না।

কৃষির উপর রয়েছে এ দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার অগাধ সম্ভবনা। স্টার্টআপ কৃষি ব্যবসা -কে সমৃদ্ধের পথে নিতে হলে আমাদেরকে এটির উপরে সঠিক ভাবে জ্ঞান লাভ করতে হবে।

কৃষি চাষ সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে একটি। কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বিপণন শিল্পে বিনিয়োগ করে আপনি ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

এই পোস্টে, আমরা আপনার জন্য কিছু প্রধান এবং অর্থ উপার্জনকারী উৎপাদনমুখী কৃষি ব্যবসার আইডিয়া বা ধারণা নিয়ে এসেছি যা থেকে ভাল আয় করা যাবে।

১০০টি সবচেয়ে লাভজনক কৃষি ব্যবসার ধারণা দেয়া হল

  1. অর্গানিক ফসল চাষ
  2. কৃষি/ইকোট্যুরিজম ব্যবসা
  3. ভেষজ এবং মশলা চাষ
  4. সবজি চাষ
  5. ফল গাছের চাষ
  6. জৈব পণ্য খুচরা বিক্রয় / কৃষকের বাজার বিক্রয়
  7. জৈব ক্যাফে/রেস্তোরাঁ
  8. শূকর প্রজনন এবং চাষ
  9. মাছ চাষ
  10. বহু উদ্ভিদ চারা নার্সারি
  11. ভেষজ দোকান
  12. বাগান / ল্যান্ডস্কেপিং সরঞ্জাম এবং সরঞ্জামের দোকান
  13. গবাদি পশুর খাদ্য উৎপাদন
  14. জৈব সার উৎপাদন
  15. হাঁস-মুরগি পালন
  16. আটা,ময়দা ভাঙ্গানোর ব্যবসা
  17. ফলের রস, জ্যাম এবং জেলি উৎপাদন
  18. ল্যান্ডস্কেপিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ সার্ভিস
  19. পোল্ট্রি এবং গবাদি পশুর মাংস উৎপাদন
  20. দুগ্ধ চাষ
  21. কৃষি ব্রোকারেজ এবং পরামর্শ সার্ভিস
  22. ডিম হ্যাচারি উৎপাদন
  23. ফুল বিক্রেতা/ফুল সাজানোর ব্যবসা
  24. মৌমাছি পালন ও মধু উৎপাদন
  25. বাদাম চাষ এবং প্রক্রিয়াকরণ
  26. ধান চাষ ও কৃষিকাজ
  27. শস্য চাষ
  28. চা এবং কফি চাষ
  29. ছাদ বাগানের যত্ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ
  30. কীটনাশক, হার্বিসাইড এবং কীটনাশক উৎপাদন
  31. এয়ার ফ্রেশনার এবং পারফিউম উৎপাদন
  32. ফিউমিগেশন এবং কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ সার্ভিস
  33. রাবার মিল এবং উৎপাদন
  34. নারকেল এবং পাম তেল চাষ
  35. আখ চাষ ও উৎপাদন
  36. ভার্মিকালচার এবং ভার্মিকম্পোস্টিং
  37. কৃষি পণ্য এবং সরবরাহের দোকান
  38. শুকনো এবং তাজা ফুলের দোকান
  39. ফুল চাষ এবং চাষ
  40. হাইড্রোপনিক্স খুচরা দোকান
  41. কৃষি, বাগান এবং ল্যান্ডস্কেপিং টিউটোরিয়াল সার্ভিস
  42. ফল ও সবজি রপ্তানি ব্যবসা
  43. ভূট্টা চাষ এবং চাষ
  44. গ্রীনহাউস চাষ
  45. জৈব প্রসাধনী উত্পাদন
  46. মোবাইল অর্গানিক খাবারের দোকান
  47. ​​ঔষধি ভেষজ এবং মূল পানীয় উত্পাদন
  48. জৈব খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ
  49. মুরগির ডিম উৎপাদন
  50. কোয়েলের ডিম উৎপাদন
  51. মাশরুম চাষ
  52. গার্ডেন arbors, pergola এবং trellis উত্পাদন সেবা
  53. ক্যাকটাস চাষ
  54. খামারের জন্য সৌর শক্তি ইনস্টলেশন
  55. মটরশুটি উৎপাদন ও চাষ
  56. বাড়িতে তৈরি ওয়াইন মত স্থানীয় পানীয় উত্পাদন
  57. শামুক চাষ
  58. ব্যাঙ চাষ
  59. ভেড়া ও ছাগল পালন
  60. ফল, সবজি এবং ভেষজ মিছরি উৎপাদন
  61. কৃষক এবং ক্রেতাদের জন্য অনলাইন দোকান
  62. কৃষক এবং অন্যান্য কৃষি ব্যবসা উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন ফোরাম/সাইট
  63. হিমায়িত মুরগির মাংস উৎপাদন
  64. ফল, সবজি ও ভেষজ উৎপাদন সংরক্ষণ করে
  65. জৈব বায়ো-ডিজেল উৎপাদন
  66. মাটি পরীক্ষা পরীক্ষাগার
  67. স্থানীয় খাবার/ দেশীয় খাবারের দোকান
  68. পোষা পাখি প্রজনন এবং চাষ
  69. গবাদি পশু পালন
  70. ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ কেন্দ্র
  71. মুরগির খাঁচা / পোল্ট্রি হাউস উত্পাদন
  72. সয়া বিন পানীয় উৎপাদন
  73. গম ঘাস চাষ
  74. স্পিরুলিনা চাষ – খাদ্য সম্পূরক হিসাবে ব্যবহৃত হয়
  75. মানসম্পন্ন বীজ গাছের দোকান
  76. অ্যাকোয়ারিয়াম মাছ এবং জলজ উদ্ভিদ চাষ
  77. খামারের যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ
  78. সৃজনশীল শিল্পকর্ম এবং কারুশিল্প উত্পাদন
  79. শোভাময় বাঁশ চাষ
  80. শোভাময় পোষা মাছের প্রজনন
  81. বনসাই চাষ
  82. অর্কীড চাষ এবং কৃষিকাজ
  83. ইকো ট্যুর ট্রাভেল এজেন্সি
  84. পশুর খাদ্য, ভিটামিন এবং অন্যান্য পশু সরবরাহের দোকান
  85. পশু পোষা ক্লিনিক
  86. পোষা প্রাণী গ্রুমিং এবং ক্যাফে ব্যবসা
  87. বিরল এবং অস্বাভাবিক গাছপালা চাষ এবং চাষ
  88. দ্রাক্ষাক্ষেত্র চাষ
  89. পোষা প্রাণীর দোকান
  90. গেম ফাউল প্রজনন এবং বিশেষ দোকান
  91. পুকুর ইনস্টলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ সার্ভিস
  92. পোষা প্রাণী পরিধানযোগ্য এবং ফ্যাশন পোশাক দোকান
  93. ঝিনুক চাষ
  94. খামার সরঞ্জাম এবং সরবরাহের দোকান
  95. নারকেল, পাম তেল এবং অন্যান্য বীজ বাদাম থেকে তেল নিষ্কাশন
  96. কৃষি বাণিজ্য মেলা, এক্সপো এবং ইভেন্ট আয়োজন ব্যবসা
  97. গাছ ছাঁটা এবং অপসারণ সার্ভিস
  98. বেকারি ব্যবসা
  99. তুলা চাষ
  100. প্রজাপতি চাষ

অ্যাজমা বা হাঁপানি কি? এর কারণ,লক্ষণ,প্রতিরোধ বা চিকিৎসা,খাদ্য ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

অ্যাজমা বা হাঁপানি কি?

অ্যাজমা হচ্ছে ক্রনিক ও জীবনসংশয়ী মারাত্মক একটি ফুসফুসের রোগ, যা আমাদের দেশে হাঁপানি রোগ হিসেবে পরিচিত। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই রোগ সম্পর্কে প্রথম ধারণা পাওয়া যায়।  

অ্যাজমা শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Asthma থেকে, যার অর্থ হাঁপানো বা হাঁ করে শ্বাস নেওয়া।

 হাঁপানি বলতে আমরা বুঝি শ্বাসপথে বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টির জন্য শ্বাসকষ্ট।

অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর সংখ্যা দিন দিন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 শিশুসহ যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে। অ্যাজমায় মানুষ মারা যায় না বললেই চলে। কিন্তু সুচিকিৎসার অভাবে তারা বেশ কষ্ট পায়।

শীতকালে শুষ্ক ঠান্ডা আবহাওয়া বাতাসে উড়ে বেড়ানোয় ধূলিকণার আধিক্যে অ্যাজমার সমস্যা বেড়ে যায়।

 

Credited: britannica.com

কারণ

অ্যাজমার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে গবেষকরা ধারণা করেন, কিছু বংশগত ও পরিবেশগত কারণে অ্যাজমা হয়। সব বয়সের মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত ঝামেলা বেশি হয়।

যাদের রক্তের সম্পর্কে কারও মধ্যে অ্যাজমা থাকে, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এছাড়াও ঘরের উপাদানের থাকা ক্ষুদ্র কীট, ধুলাবালি, গাছ-আগাছা, ফুলের পরাগরেণু, পশুপাখির পালক, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি থেকে সংক্রমণ হয়ে থাকে।

কিছু উপাদান অ্যাজমা রোগের উৎপত্তি, আক্রমণ ও স্থায়িত্বকে বেশ প্রভাবিত করে থাকে, যাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান বলে। এই ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান রোগীসংশ্লিষ্ট ও পরিবেশগত এই দুই ধরনের।

রোগীসংশ্লিষ্ট কারণ

বংশগত বা জেনেটিক: যদি মা-বাবার অ্যাজমা থাকে, তবে সন্তানের অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

এই রোগীদের অ্যাজমা ও অন্যান্য অ্যালার্জিজনিত রোগ যেমন একজিমা, রাইনাইটিস বেশি হয়। তবে অ্যাজমা আক্রান্ত মা যদি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাহলে এ রোগগুলোর আশঙ্কা কমে।

 সাধারণত শিশু বয়সে ছেলেদের ও প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বেশি অ্যাজমা দেখা যায়।

 

পরিবেশগত কারণ

অ্যালার্জেন: সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অ্যাজমার ঝুঁকি, যেমন পশুর লোম, আরশোলা, রেণু, ছত্রাক ইত্যাদি।

উত্তেজক: সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার উত্তেজক পদার্থ, ঠাণ্ডা বাতাস, রঙের ঝাঁজালো গন্ধ, মসলা, সুগন্ধি প্রভৃতি।

ওষুধ: অ্যাসপিরিন, ব্যথানাশক, বিটা বøকারস, হিরোইন প্রভৃতি।

এ ছাড়া টিনজাত ফলের, ভাইরাসজনিত শ্বাসনালিতে সংক্রমণ, দৈহিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম অ্যাজমা ট্রিগার করে থাকে, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা : যেমন অট্টহাসি, কান্না ছাড়াও অ্যাজমার অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান রয়েছে।

 

কীভাবে বুঝবেন অ্যাজমা রোগের লক্ষণ

#শ্বাসকষ্ট, সঙ্গে শুকনো কাশি(রাতে ঘুমানোর সময় কাশি বেড়ে যায়)।

#কফ থাকতে পারে।

#শারীরিক কর্মকাণ্ড যেমন হাঁটলে বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

#বুক ভার হয়ে থাকে।

#শ্বাস নেওয়ার সময় বাঁশির মতো আওয়াজ হয়।

#ধুলাবালি বিশেষভাবে ঘরের ধুলা, ঠাণ্ডা কিংবা গরমের কারণে শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট;

#হঠাৎ দম বন্ধ ভাব অনুভব করা

#ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি।

clevelandclinic.org
ঝুঁকি বোঝার উপায়:
সাধারণত অ্যাজমায় মৃতুুহার শতকরা ১ ভাগের নিচে। তবে অ্যাজমায় জীবন ঝুঁকিপূর্ণ আক্রমণ নিম্নরূপ লক্ষণ থেকে বোঝা যায়।

#যদি রোগী শ্বাসকষ্টের জন্য এক নিঃশ্বাসে একটি পূর্ণ বাক্য বলতে না পারে।

#যদি রোগীর জ্ঞান স্বাভাবিক না থাকে বা অজ্ঞান হয়ে যায়।

#সোজা হয়ে বসে থাকার প্রবণতা থাকে।

#নাকের অগ্রভাগ নীল হয়ে গেলে।

#শ্বাস-প্রশ্বাস মিনিটে ৩৫-এর বেশি হলে।

#নাড়ি মিনিটে ১২০-এর বেশি হলে।

এসব লক্ষণ দেখা মাত্রই হাসপাতালে নেয়া দরকার।

হাঁপানি রোগ কতদিন থাকে?

হাঁপানি অনেকের জন্যই একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, বিশেষ করে যাদের এই রোগ প্রাপ্তবয়স্ক হবার পরে শুরু হয়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাঁপানি অনেকসময় ভালো হয়ে যায় বা বয়ঃসন্ধিকালে অবস্থার উন্নতি হয়। তবে জীবনের পরবর্তী সময়ে রোগটি আবার ফিরে আসতে পারে।

উপসর্গুলো সাধারণত চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বেশিরভাগ মানুষই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। তবে যারা তুলনামূলকভাবে গুরুতর হাঁপানির রোগী, তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে রোগটি ব্যঘাত ঘটাতে পারে।

হাঁপানি রোগের চিকিৎসা কী?

 

#ইনহেলার পদ্ধতি: এটি সবচেয়ে উপকারী এবং আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ওষুধ শ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে শ্বাসনালিতে কাজ করে। 

ফলে খুবই অল্প মাত্রার ওষুধ প্রয়োগে অধিক সুবিধা হয়। পাশাপাশি যেহেতু ওষুধ রক্তে খুব এণ করে আরোগ্য লাভ করে, আবার ইদানিং অনেক নামদারি হোমিও চিকিৎসক বের হয়েছে,তারা এজমা রোগীকে পেটেন্ট টনিক, মিশ্র প্যাথি দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে তাদের কে ডা.হানেমান শংকর জাতের হোমিওপ্যাথ বলে থাকেন, রোগীদেরকে মনে রাখতে হবে, হাঁপানী কোনো সাধারণ রোগ না, তাই সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে অভিজ্ঞ চিকিৎকের পরামর্শ নিন।

কটা যায় না, ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না বললেই চলে। তবে রোগীকে এর ব্যবহার শেখানোটা একটু কঠিন।

 #ট্যাবলেট অথবা সিরাপ : ওষুধ রোগীর রক্তে প্রবেশ করে ফুসফুসে গিয়ে কাজ করে।

#নেবুলাইজার: তীব্র অ্যাজমার আক্রমণে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে, নেবুলাইজার যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত না রাখলে এর মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণ হয়.

# ইনজেকশন : অ্যাজমার মারাত্মক আক্রমণে স্টেরয়েড ইনজেকশন শিরায় দেওয়া হয়।

করণীয়/প্রতিরোধ (ওষুধবিহীন চিকিৎসা)

#অ্যাজমার ওষুধ বা ইনহেলার সবসময় হাতের কাছে রাখুন।

#ভিটামিন-এ জাতীয় খাবার, কলিজা, গাজরসহ শাক-সবজি ও মধু খাবেন।

#নিয়মিত চেকআপ করাবেন।

#নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।

#ধূমপান ও ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন।

#বালিশ লেপ তোশক-পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।* ঘর-বাড়িকে ধুলোবালি থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা। এজন্য দৈনিক অন্তত একবার ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র, ভেজা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে অথবা ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করতে হবে।

#ঘরে কার্পেট ব্যবহার না করা।

#ঠাণ্ডা খাবার আইসক্রিম ইত্যাদি না খাওয়া।

#বাড়িতে পোষা প্রাণী (কুকুর, বিড়াল) থাকলে নিয়মিত গোসল করাতে হবে বা পরিচ্ছন রাখতে হবে।

#মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা এড়িয়ে চলতে হবে।

# আতর, সেন্ট, পারফিউম ব্যবহার না করাই উত্তম।

 #অ্যালাজেন পরিহার : অ্যালার্জি দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা অ্যাজমার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্থা অর্থাৎ যে জিনিসে অ্যালার্জি তা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা।

#ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে সে ব্যবস্থা করুন। রাতে ঘুমানোর সময় পর্যাপ্ত উষ্ণতায় থাকুন।

#দিনে বা রাতে কুয়াশায় চলাফেরার সময় নাক ঢেকে রাখুন (গায়ে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় থাকলেও)।

#স্যাঁতসেঁতে বা ঘিঞ্জি পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা পরিবেশ ক্ষতিকর।

#রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় সম্ভব হলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।

aafa.org
★ হাঁপানি রোগীর খাদ্য ও পথ্য

অ্যাজমা​​​​​​​ রোগীর খাবার: ১. কুসুম গরম খাবার, ২. মওসুমি ফলমূল, ৩. ছাগলের দুধ (তেজপাতা, পুদিনা ও কালোজিরা সহ), ৪. আয়োডিন যুক্ত লবণ ও সৈন্ধব লবণ, ৫. মধু, স্যুপ, জুস, ৬. কালোজিরার তেল. ৭. আদা ও পুদিনার চা।

অ্যাজমা​​​​​​​ রোগীর যে সব খাবার নিষিদ্ধ: ১. মিষ্টি দধি ও মিষ্টান্ন ২. ফ্রিজের কোমল পানীয় ৩. আইসক্রীম, ফ্রিজে রাখা খাবার ৪. ইসুবগুল ও গ্রেবী জাতীয় খাবার ৫. কচুর লতি, তিতা জাতীয় খাবার ৬. পালং শাক ও পুই শাক, মাসকলাই, মাটির নীচের সবজি যেমন-গোল আলু, মিষ্টি আলু, শালগম, মুলা, গাজর ইত্যাদি। এছাড়াও ইলিশ মাছ, গরুর গোশত, চিংড়ী মাছ ৭.পাম অয়েল, ডালডা ও ঘি। ৮. অধিক আয়রনযুক্ত টিউবঅয়েলের পানি।

★ হোমিও সমাধান 

হোমিওপ্যাথি মতে তিনটি রোগ-বীজ হলো সব রকম অসুস্থতার কারণ। সোরা, সাইকোসি, সিফিলিস,সোরা -সাইকোসিস বা সোরা -সাইকোসিস-সিফিলিস মিশ্রভাবে এ্যাজমা রোগের জন্য দায়ী।

বর্তমান যুগের এই মিশ্র রোগ -বীজকে অনেকে টিউবারকুলার মায়াজম নামে নামকরণ করে থাকে, এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কে ডা. হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে সঠিক রোগীলিপি করণের মাধ্যমে যদি চিকিৎসা করা যায় তাহলে এ্যাজমা-সহ যে কোনো জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিওিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগত ভাবে চিকিৎসা দিলে আল্লাহর রহমতে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে চিরন্তন সত্য বলে কিছুই নেই । কেননা একসময় আমরা শুনতাম যক্ষা হলে রক্ষা নেই , বর্তমানে শুনতে পাই যক্ষা ভালো হয়। এ সবকিছু বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ফসল ।

এজমা চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। সামগ্রিক উপসর্গের ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়।  এটিই একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে রোগীর কষ্টের সমস্ত চিহ্ন এবং উপসর্গগুলো দূর করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের অবস্থা পুনরুদ্ধার করা যায়।

বিবিসি নিউজের ২০১৬ তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহহোমিও সমাধান সম্পর্কে লিখেছেন লেখক : ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদ (স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি। কো-চেয়ারম্যান, হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড

সুস্বাস্থ্য রাখার জন্য গ্রুরুত্বপূর্ন সুঅভ্যাস থাকা প্রয়োজন

সুস্বাস্থ্য হলো সুন্দর জীবনের মূল চাবিকাঠি । সুস্বাস্থ্য পেতে হলে চাই পরিমিত আহার গ্রহণ এবং নিয়ম মেনে চলা। নিজের সামান্য একটু যত্ন, কিছু সুঅভ্যাস আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ ও নীরোগ একজন মানুষ।

প্রয়োজনীয় কিছু সহজ কৌশলের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারবেন । নিচের বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন –

[the_ad id=”1270″]

খালি পেটে পানি পান করুনঃ

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে পানি পান করুন। এতে আপনার শরীরের মেটাবলিজম ত্বরান্বিত হবে এবং ওজন বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা কমে যাবে। সম্ভব হলে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনার পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে। পেট পরিষ্কার থাকবে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।

দাঁত পরিষ্কার করুনঃ

আমরা প্রায় সকলেই ঘুম থেকে উঠে নাশতা করার আগে দাঁত ব্রাশ করি। আসলে সকালে দাঁত ব্রাশ করার নিয়ম হলো নাশতার পর দাঁত ব্রাশ করা। যদি আপনি রাতে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমান, তাহলে নাশতা করার আগে শুধু কুলি করে নিন। এরপর নাশতা করার পর দাঁত ভালো করে ব্রাশ করে পরিষ্কার করুন। এতে আপনার মুখ ও দাঁত সারাদিনের জন্য পরিষ্কার থাকবে এবং নিঃশ্বাসেও খুব বেশি দুর্গন্ধ হবে না।

[the_ad id=”1270″]

ব্যায়াম করুনঃ

নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে করবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়মিত ব্যায়াম করুন। অল্প সময়ের ব্যায়ামেই আপনি পাবেন দীর্ঘমেয়াদী ফল। আপনি থাকবেন সারা দিনের জন্য ঝরঝরে এবং কর্মক্ষম। জোরে হাঁটা বা দৌড়ানো খুব ভালো ব্যায়াম। ঘুম থেকে ওঠার পর প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতে পারেন। এছাড়া করতে পারেন হালকা কোনো ব্যায়াম।

পরিমিত বিশ্রামঃ

যদি আপনি ক্লান্ত ও উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন, চট করে ৫ মিনিটের বিরতি নিয়ে নিন। কিছুটা সময় ভারী শ্বাস-প্রশ্বাস নিন এবং মন শিথিলের কিছু কৌশল; যেমন- কল্পনায় নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আপনার অবসাদ-ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। কাজের ফাঁকে বিশ্রাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এটা প্রমাণিত যে, মন শিথিলের এসব কৌশলসমূহ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

প্রচুর পানি পানঃ

শরীরের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই পানি। সুতরাং পানি পান যে সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অন্যতম তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দৈনিক ৮ গ্লাস পান করুন। এতে আপনার ত্বক মসৃণ থাকবে, কিডনি ভালো থাকবে এবং মূত্রনালির জটিলতা থেকে রেহাই পাবেন।

[the_ad_placement id=”adsense-in-feed”]

সকালে ভরপেট নাশতা করুনঃ

অনেকেই মোটা হয়ে যাবার ভয়ে সকালে ঠিকমতো নাশতা করেন না। এটা আসলে একটা ভুল ধারণা। বরং সকালে নাশতা না করলেই ওজন বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সকালে ভরপেট নাশতা করুন। এতে আপনার সারাদিনের কর্মক্ষমতা ঠিক থাকবে। দুপুরে ও রাতে অল্প পরিমাণে খেলেও সমস্যা হবে না। সকালের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন।

চা বা কফি নাশতার পরে খানঃ

সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই খালি পেটে চা বা কফি খান। এটা খুবই খারাপ একটা অভ্যাস। এতে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে ক্রনিক অ্যাসিডিটি বা আলসারের সূত্রপাত এভাবেই হয়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যেও এ অভ্যাস দায়ী। তাই সকালে নাশতা করার পর চা বা কফি খান।

বাড়তি চাপ এড়িয়ে যানঃ

স্বাস্থ্যকর জীবন মানে স্বাস্থ্যকর খাবার, সুনিদ্রা আর নিয়মিত ব্যায়াম। বাড়তি চাপ বাড়ায় করটিসোল হরমোন মান বিপাককে করে দেয় এলোমেলো। জীবনকে সহজ করুন। সহজ-সরল জীবনযাপন। ব্যায়াম, প্রকৃতির কাছাকাছি হাঁটুন, বেড়ান, গভীর শ্বাসক্রিয়া চর্চা করুন, ধ্যানচর্চা করতে পারেন।

অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ এড়িয়ে যাওয়া ভালোঃ

ঠান্ডা এবং ফ্লু ভাইরাস আক্রান্ত অনেকের ধারণা ঠান্ডা হলেই এ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে- যা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু এমনটি ভাবা ঠিক নয়। এ্যান্টিবায়েটিক জীবাণু ধ্বংস করে ঠিকই, কিন্তু অন্যদিকে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

শরীরকে পুষ্টিকর খাবার দিয়ে পরিপুষ্ট করুনঃ

প্রকৃতি থেকে আহরণ করা খাবার খাবেন। কৃত্রিম প্রক্রিয়াজাত খাবর নয়। তাই হাটবাজার সওদা করুন, ঘরে রান্না করুন। পরিবারে সবাই মিলে খান। কচি মাংস, মাছ, ডিম, শাকসবজি, ফল, বীজ, স্বাস্থ্যকর চর্বি, মিষ্টি আলু খাওয়ার প্লেট হবে ছোট, ৯ ইঞ্চি ব্যাস। প্লেটের অর্ধেক ভরে থাকবে শাকসবজি একচতুর্থাংশে থাকবে মাছ-মাংস, ডিম এক চতুর্থাংশ থাকবে শর্করা। লাল চাল, লাল আটা, প্রচুর পানি সঙ্গে ফল, দধি।

[the_ad id=”1270″]

ফাস্টফুড, অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া খাবার ইত্যাদি খাবারের পরিবর্তে ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, মুরগির মাংস ইত্যাদি খেলে অনেক সমস্যা এমনিতেই কমে যায়।

মনে রাখবেন – প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম, প্রতিরোধ করুন প্রতিকার নয়।

Amar Sastho Test

0

If we can consume those foods in a proper amounts by maintaining a diet chart every day in our daily life, we can prevent many diseases. This may also vary for the different age groups. Healthy living style is very important too in different ages. For example, regular physical exercise, a proper amount of sleeping and peace of mind are equally important to prevent many diseases along with consuming healthy foods.

করোনা ভাইরাস এ যে খাবার তালিকা

করোনা ভাইরাস এ যে খাবার গুলো আপনার প্রতিদিন এর তালিকায় রাখুন

বিভিন্ন ধরনের ফলের মধ্যে চিকিৎসকেরা মূলত লেবুজাতীয় ফল খাওয়ার উপরেই বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন। লেবুজাতীয় নানা ধরনের ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। প্রায় সব ধরনের লেবুজাতীয় ফলেই থাকে প্রচুর ভিটামিন-সি। পাতি লেবু, কাগজি লেবু, কমলা, বাতাবি লেবু, মাল্টায় থাকে প্রচুর ভিটামিন-সি।

লেবু জাতীয় ফলের পাশপাশি জরুরি হলো পেয়ারা খাওয়া। পেয়ারায় থাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। আপেল খাওয়াও জরুরি। আর প্রয়োজন বেদানা। লোহার সঙ্গে নানা ধরনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন প্রচুর থাকে এই ফলগুলোতে।

[the_ad id=”1338″]

করোনা সংক্রমণের কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও সক্রিয় রাখার প্রয়োজন আরও বেড়ে গেছে। তাই নানা ধরনের ফল এখন নিয়মিতভাবে খাওয়া প্রয়োজন।

বেশি বেশি করে যে ফলগুলো খাবেন – আপেল, কমলা, মালটা, পেয়ারা, ডালিম

পানি খান প্রচুর: বাড়িতে থাকলেও প্রচুর পানি খেতেই হবে। কারণ তুমুল আর্দ্রতার কারণে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হচ্ছে, আর শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে অমূল্য পানি। সেটা ফিরিয়ে দেয়া আবশ্যক। ডাক্তারের বারণ না থাকলে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।

[the_ad id=”1338″]

মশলার ব্যবহার বন্ধ করবেন না: জিরা, ধনিয়া, আদা, মৌরি ব্যবহার করুন প্রতিদিনের রান্নায়। রসুন বাড়ায় প্রতিরোধক্ষমতা, তাই সেটিও বাদ যেন না পড়ে। সকালে উঠে জোয়ান ভেজানো পানি খেয়ে দিন শুরু করতে পারেন। তাতে হজমের সমস্যা এড়ানো যায়।

[the_ad id=”1338″]

ফলসবজির সদ্ব্যবহার করুন: বাজারে যেটুকু ফল বা শাকসবজি পাওয়া যাচ্ছে, সেটুকু কাজে লাগান। রান্না করুন একেবারে হালকা করে, অতিরিক্ত তেল বা ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। কাঁচা আম, শসা, লাউ, ঝিঙে, পটল, কলমি শাক, পাট শাক পেলে অবশ্যই খান। ভালো করে ধুয়ে তবেই রান্না করুন শাকসবজি।

[the_ad id=”1338″]

করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন

হোম কোয়ারেন্টাইন:

কোনো ব্যক্তি যখন নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনের সব নিয়ম মেনে, বাইরের লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা বন্ধ করে আলাদা থাকেন, তখন তাকে হোম কোয়ারেন্টাইন বলে। সাধারণত, সম্প্রতি আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে না এলে রোগীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

এ ক্ষেত্রেও ন্যূনতম ১৪ দিন ধরে আলাদা থাকার কথা। কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে, বা রোগীর সংস্পর্শে এলে তার শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে কোভিড-১৯। বাসা আদৌ বেঁধেছে কি না বা সে আক্রান্ত কি না এটা বুঝে নিতেই এই ব্যবস্থা নিতে হয়।

[the_ad id=”1270″]

হোম কোয়ারেন্টাইনে যা যা করা যাবে:

পরিবার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ফোন, মোবাইল বা ইন্টারনেটে যোগাযোগ রাখতে পারেন

কোনো শিশুকে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হলে তার জন্য প্রযোজ্যভাবে বোঝাতে হবে। পর্যাপ্ত খেলার সামগ্রী দিতে হবে এবং খেলনাগুলো খেলার পরে জীবাণুমুক্ত করতে হবে

খাওয়া, হালকা ব্যায়ামের মতো দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলতে হবে। বড় কোনো অসুস্থতা না থাকলে বাসায় বসে অফিসের কাজ করতে বাধা নেই।

বইপড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখার পাশাপাশি কোয়ারেন্টিনের নিয়মের সঙ্গে পরিপন্থি নয় এমন যে কোনো বিনোদনমূলক কাজে কোনো সমস্যা নেই

[the_ad id=”1270″]

ঘরে থাকতে হবে যেভাবে

আলো বাতাসের সুব্যবস্থা সম্পন্ন আলাদা ঘরে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদাভাবে থাকতে হবে। তা সম্ভব না হলে অন্যদের থেকে অন্তত এক মিটার বা ফুট দূরে থাকতে হবে। আলাদা বিছানায় ঘুমাতে হবে

যদি সম্ভব হয় তাহলে আলাদা গোসলখানা বা টয়লেট ব্যবহার করতে হবে। সম্ভব না হলে অন্যদের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয় এমন স্থানের সংখ্যা কমাতে হবে এবং ওই স্থানগুলোতে জানালা খুলে রেখে পর্যাপ্ত আলোবাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে

বুকের দুধ খাওয়ানএমন মা তার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াবেন। তবে শিশুর কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার এবং ভালোভাবে হাত ধুতে হবে

কোয়ারেন্টাইন:

করোনার জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পরেই তার উপসর্গ দেখা দেয় না। অন্তত সপ্তাহখানেক সে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে জানে। তাই কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে বা রোগীর সংস্পর্শে এলে তার শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে কোভিড-১৯। বাসা আদৌ বেঁধেছে কি না বা সে আক্রান্ত কি না এটা বুঝে নিতেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় রোগীকে। অন্য রোগীদের কথা ভেবেই কোয়ারেন্টাইন কখনো হাসপাতালে আয়োজন করা হয় না। করোনা হতে পারে এমন ব্যক্তিকে সরকারি কোয়ারেন্টাইন পয়েন্টে রাখা হয়।

[the_ad id=”1270″]

কমপক্ষে ১৪ দিনের সময়সীমা এখানেও। এই সময় রোগের আশঙ্কা থাকে শুধু, তাই কোনোরকম ওষুধপত্র দেয়া হয় না। শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়। বাইরে বের হওয়া বন্ধ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। যেহেতু রোগের জীবাণু ভিতরে থাকতেও পারে, তাই মাস্ক ব্যবহার করতেও বলা হয়। বাড়ির লোকেদেরও এই সময় রোগীর সঙ্গে কম যোগাযোগ রাখতে বলা হয়।

আইসোলেশন:

কারো শরীরে করোনা ধরা পড়লে তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আইসোলেশনের সময় চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে থাকতে হবে রোগীকে। অন্য রোগীর কথা ভেবে হাসপাতালে আলাদা জায়গা তৈরি করা হয় তাদের জন্য। অন্তত ১৪ দিনের মেয়াদে আইসোলেশন চলে। অসুখের গতিপ্রকৃতি দেখে তা বাড়ানোও হয়। আইসোলেশনে থাকা রোগীর সঙ্গে বাইরের কারো যোগাযোগ করতে দেয়া হয় না। তাদের পরিজনের সঙ্গেও এই সময় দেখা করতে দেয়া হয় না। একান্ত তা করতে দেয়া হলেও অনেক বিধিনিষেধ মানতে হয়।

[the_ad id=”1270″]

এই অসুখের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই সময় কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় এমন কিছু ওষুধ ও পথ্য দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হয়। যাদের শরীরে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি ও করোনার প্রকোপ অল্প, তারা এই পদ্ধতিতে সুস্থও হন। যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ও রোগের হানা বড়সড় রকমের, তাদের পক্ষে সেরে ওঠা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

যে বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলবেন এই করোনা প্রাদুর্ভাব এ

মাস্কের ব্যবহার

বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে একই ঘরে অবস্থান করলে, বিশেষ করে এক মিটারের মধ্যে আসার সময় কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তি মাস্ক ব্যবহার করবেন। অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক পরে থাকার সময় হাত দিয়ে ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে

মাস্কের সঙ্গে সর্দি, থুতু, কাশি, বমি লেগে গেছে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক খুলে ফেলতে হবে এবং নতুন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহাহৃত মাস্ক ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলতে হবে এবং সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে

[the_ad id=”1270″]

বারবার হাত ধোয়া

সাবান পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক মুখ স্পর্শ করা যাবে না

সাবানপানি ব্যবহারের পর টিস্যু দিয়ে হাত শুকিয়ে নিতে হবে। টিস্যু না থাকলে শুধু হাত মোছার জন্য নির্দিষ্ট তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার করা যাবে। সেটি ভিজে গেলে বদলে ফেলতে হবে। আর কেউ তা ব্যবহার করবেন না

হাঁচিকাশি শিষ্টাচার

কাশি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। হাঁচিকাশির সময় টিস্যু পেপার, মেডিকেল মাস্ক, কাপড়ের মাস্ক বা বাহুর ভাঁজে মুখ নাক ঢেকে রাখতে হবে এবং ২০ সেকেন্ডের নিয়ম মেনে হাত ধুতে হবে

ব্যক্তিগত ব্যবহার্য সামগ্রী অন্য কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করা যাবে না

কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তি তার ঘরেই খাবেন। তার বাসনপত্র, থালা, গ্লাস, কাপ, তোয়ালে, বিছানার চাদর অন্য কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবে না। এসব জিনিসপত্র ব্যবহারের পর সাবানপানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে

যা মেনে চলবেন পরিবারের সদস্যরা

কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি সর্বক্ষণ নিজের ঘরেই থাকবেন। বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার, অ্যাজমার মত দীর্ঘমেয়াদী রোগ যাদের নেই, এমন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির পরিচর্যার দায়িত্ব নিতে পারেন। তবে তাকেও নিরাপত্তার নিয়ম মানতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে আছেন এমন ব্যক্তির সঙ্গে কোন অতিথিকে দেখা করতে দেওয়া যাবে না

[the_ad id=”1270″]

কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা তার ঘরে ঢুকলে খাবার তৈরির আগে পরে, খাবার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, গ্লাভস পরার আগে খোলার পরে এবং যখনই হাত দেখে নোংরা মনে হবে তখন পরিচর্যাকারীকে নিয়ম মেনে হাত ধুতে হবে

খালি হাতে ওই ঘরের কোনো কিছু স্পর্শ করা যাবে না

কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির ব্যবহৃত বা তার পরিচর্যায় ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, টিস্যু প্রভৃতি অথবা অন্য আবর্জনা ওই ঘরে ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে রাখতে হবে। পরে সেসব আবর্জনা উন্মুক্ত স্থানে না ফেলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে

— সংগৃহিত ( অনলাইন )

চিয়া বীজ

চিয়া বীজ :

চিয়া বীজ ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ভাল উৎস। কেননা এই চিয়া বীজ উচ্চমাত্রায় ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পরিশোষক পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যকে অত্যন্ত পুষ্টিময় করে তোলে।

আমলা তে খুব কম পরিমাণ ক্যালরি এবং অনেক বেশি মাত্রায় ফাইবার আছে যা আমাদের স্থূলতা-মেদবৃদ্ধি,হৃদরোগ,ডায়াবেটিস ও কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

প্রতি ১ কাপ (১৫০ গ্রাম) Chia seeds ( চিয়া বীজ) তে – পুষ্টি উপাদান::

পুষ্টি উপাদান-প্রতি ১৫০ গ্রাম আমলকি
Calories/ক্যালরিঃ ৬৬ গ্রাম
Carbs/কার্বসঃ ১৫ গ্রাম
Protein/প্রোটিনঃ ১ গ্রাম
Potassium/পটাশিয়ামঃ ৬% 
Sugar/চিনিঃ ৪.২ গ্রাম
Fiber/ফাইবারঃ ৭ গ্রাম
Fat/ফ্যাটঃ >১ গ্রাম ( ১ গ্রামের কম)
এ ছাড়া অন্যান্য ভিটামিন সমূহঃ ভিটামিন বি৫ঃ ৯% ভিটামিন বি৬ঃ ৭% ভিটামিন সিঃ ৪৬% (প্রতিদিনের খাদ্য তুলনায়) কপারঃ ১২% ম্যাঙ্গানিজঃ ৯% 

স্বাস্থ্যকর উপকারী দিকসমূহঃ

  • চিয়া বীজে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনলস এর উপস্থিতি থাকে।
  • চিয়া সীড কার্ডিওভাসকুলার  রোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং স্থূলতা জনিত উদ্দীপনা বা প্রদাহ জনিত ঝুঁকি কমায়।
  • চিয়া সীড ওভারি বা ডিম্বানুর ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার এবং প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • চিয়া সীড রক্তের আলফা লিপোইক এসিড  (ALA) বৃদ্ধি করে। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আমাদের রক্তের উদ্দীপনা কমাতে সহযোগীতা করে। এই আলফা লিপোইক এসিডেে নিজস্ব ইনসুলিন ডায়াবেটিস টাইপ-২ এর ব্লাড সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
  • চিয়া বীজ রক্তের আইকোস্যাপেন্টেইনোইক বা EPA  এর মাত্রা কমাতে সক্ষম। কেননা EPA হল এক প্রকার ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা আমাদের মস্তিষ্কের পুষ্টি সাধনে বহুল পরিচিত। খাদ্যতালিকা তে অধিক পরিমাণে EPA এর উপস্থিতি  Attention deficit Hyperactive রোগ, বাইপোলার জনিত সমস্যা এমনকি সিজোফ্রেনিয়া জাতীয় রোগ হতে পারে। অবশ্য এগুলো আলঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
  • চিয়া বীজ রক্তের শর্করা কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। কিছু গবেষণায় এটা দেখা গেছে যে চিয়া বীজ খাবার পর তাৎক্ষণিক রক্তের শর্করা কমিয়ে দিতে সক্ষম। তাছাড়া এই বীজ আমাদের ক্ষুধা কমিয়ে দেয়।
  • চিয়া বীজ হৃদরোগের ঝুঁকির কমায়।
  • কিছু গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এটি প্রতিদিন ৩৭ গ্রাম  চিয়া বীজ টানা ১২  সপ্তাহ খেলে রক্তচাপ কমে এবং কয়েকপ্রকার রাসায়নিক প্রদাহ যেমন CRP বা সি রিএকটিভ শর্করা কমাতে সাহায্য করে।
  • চিয়া বীজ এমন একটি খাবার যাতে কম ক্যালরি এবং উচ্চমাত্রায় ফাইবার বিদ্যামান । তাই এটি খেলে আমাদের দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি বলে মনে হয়। এটিতে যে ফাইবার আছে তা আমাদের ওজন হ্রাসে দারুণ সহায়তা করে। এছাড়াও প্রতি চামচ চিয়া বীজে ৫ গ্রাম ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং আলফা লিনোলিক এসিড বিদ্যমান যা আমাদের ওজন হ্রাস করাতে গুরুপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কিভাবে চিয়া বীজ খাবেনঃ

  • চিয়া বীজকে আপনি বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাবারের সাথে উৎকৃষ্ট  খাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এই সুস্বাদু বীজ সালাদের অন্যতম উপাদান হিসেবে খবারের উপরে ছিটিয়ে ব্যবহার পারেন।
  • চিয়া বীজ সরাসরি কাঁচাও খাওয়া যায় কারণ এটা অত্যন্ত সুস্বাদু।
  • এই বীজ লেবুর শরবত,  দই বা অন্য যে কোন শরবতের সাথে সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন।
  •  আপনি চাইলে চিয়া বীজ পানি, লেবু ও মধুর সাথে মিশিয়ে দারুণ শরবত বা জুশ বানিয়ে খেতে পারবেন যা আপনার ওজন কমাতে দারুণ সহায়তা করবে।

সূর্যমুখী বীজ

সূর্যমুখী বীজ

সূর্যমুখী বীজ খেতে খুব সুস্বাদু ও নরম প্রকৃতির। এই সূর্যমুখী বীজ ভিটামিন বি ফলেটের দারুণ একটি উৎস যা গর্ভবতী মহিলা ও বিশেষ করে হার্টের রোগীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বীজে আছে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট। তাছাড়া  এতে রয়েছে ক্যান্সার ও ইনফ্লেমেটোরি প্রতিরোধী উপাদান।

আউন্স (২৮ গ্রাম) সূর্যমুখী বীজে বিদ্যমান উপাদানসমূহঃ

  1. ক্যালরিঃ ১৬৪
  2. ফাইবারঃ ২.৪ গ্রাম
  3. প্রোটিনঃ ৫.৮ গ্রাম
  4. মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটঃ ৫.২ গ্রাম
  5. ওমেগা-৬ ফ্যাটঃ ৬.৪ গ্রাম
  6. ভিটামিন ইঃ ৪৭% (দৈনিক চাহিদার তুলনায়)
  7. ম্যাঙ্গানিজঃ ২৭% (দৈনিক চাহিদার তুলনায়)
  8. ম্যাগনেসিয়ামঃ ২৩% (দৈনিক চাহিদার তুলনায়)

সূর্যমুখী বীজের স্বাস্থ্যকর উপকারী দিকসমূহঃ

  • কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, সপ্তাহে পাঁচবারের বেশি সূর্যমুখী বীজ খেলে সি-রিএ্যাকটিভ প্রোটিন লেভেল কমিয়ে দেয় যেটি প্রদাহজনিত রাসায়নিক ক্রিয়ার সাথে জড়িত প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে।সূর্যমুখী বীজ প্রদাহের হ্রাস করে। এই বীজ মধ্যবয়সী মানুষের জন্য খুবই ভাল কাজ করে।
  • সূর্যমুখী বীজে উচ্চমাত্রায় মনোস্যাচুরেটেড ও ওমেগা-৬ ফ্যাট উভয়েই বিদ্যমান যা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • একটি পর্যবেক্ষণীয় গবেষণায় বলা হয়েছে যে, মহিলাদের প্রতি তিন সপ্তাহের স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকাতে কমপক্ষে ৩০ গ্রাম সূর্যমুখী বীজ রাখা উচিত।কেননা এটি রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড,কোলেস্টেরল এবং LDL কোলেস্টেরল হ্রাস করে।
  • গর্ভবতী মহিলা ও বিশেষ করে হার্টের রোগীর জন্য সূর্যমুখী বীজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • এটি আপনার মনকে চাঙ্গা করে তুলতে পারে। এছাড়া মানব দেহের Alzheimer’s, ডেমেনেশিয়া ও বাইপোলার ব্যাধির ঝুঁকি কমাতে সূর্যমুখী বীজের জুড়ি নেই।
  • সূর্যমুখী বীজ মনকে শান্ত রাখে এবং চাপ কমায় বলে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুব ভাল খাবার বলে মনে করা হয়।

সূর্যমুখী বীজ কিভাবে খাবেনঃ

  • সূর্যমুখী বীজ কাঁচা খাওয়া যায় কারণ কাঁচা খেতে বেশ সুস্বাদু। এছাড়া এটি আপনি ভেজেও খেতে পারেন।
  • এটি সালাদ ও মিষ্টি জাতীয় খাবারেও ব্যবহার করা যায়।

ডুমুর / তীন ফল

ডুমুর বা ত্বীন ফল কয়েক শতাব্দী ধরে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কারণ এটি অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায় যে, এটি ডায়াবেটিক থেকে একজিমা এমনকি চিকিৎসা সংক্রন্ত বিভিন্ন উদ্বেগ জনিত রোগের চিকিৎসায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ত্বীন ফল মানুষের দ্বারা খাওয়া সবচেয়ে পুরাতন ফলগুলোর মধ্যে একটি। এ ফলে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যগত উপকারীতা রয়েছে।

প্রতি ৫ গ্রাম শুকনো ত্বীন ফলে বিদ্যমান উপাদানসমূহঃ:

-কার্বোহাইড্রেটঃ ০.৫ গ্রাম
-সুগারঃ ১.২২ গ্রাম
-ফাইবারঃ ১.৫ গ্রাম
-ফ্যাটঃ ১.৫ গ্রাম
-প্রোটিনঃ ০.৫ গ্রাম
-থায়ামিনঃ ১.৫ মিলি গ্রাম
-রিবোফ্লাভিনঃ ০.১২ মিলি গ্রাম
-নিয়াসিনঃ ১.৫ মিলি গ্রাম
-প্যান্টোথেনিক এসিডঃ ১.৫ মিলি গ্রাম
– ভিটামিন বি৩ঃ ৩.৫ মিলি গ্রাম
-ফোলেটঃ ৯ IEU
-ভিটামিন সিঃ ১.২ মিলি গ্রাম
-ক্যালসিয়ামঃ ১২ মিলিগ্রাম
-লৌহঃ ২.৫ মিলিগ্রাম
-ম্যাগনেসিয়ামঃ ৫ মিলিগ্রাম
-ফসফরাসঃ ৫ মিলিগ্রাম
-পটাসিয়ামঃ ১ মিলিগ্রাম
-জিংকঃ ১.৫ মিলিগ্রাম
-শক্তিঃ ২০ কিলোক্যালোরি

উপরোক্ত উপাদান গুলো মানষের শরীরের জন্য খাদ্য তালিকায় থাকা অত্যাবশ্যক।

[the_ad_placement id=”paragraph”]

স্বাস্থ্যকর উপকারী দিকঃ:

✪ডুমুরের ফ্যাট থাকায় এতে প্রচুর পটাশিয়ামের উপস্থিতি থাকে যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

✪এটি রক্তে ক্ষতিকর চিনির পরিবর্তে প্রাকৃতিক চিনি তৈরী করে বলে তা ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।

✪ডুমুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত ডুমুর খেলে কোলন ক্যান্সার হবার ঝুঁকি কম থাকে। কারণ ডুমুরে বিদ্যামান ফাইবার দ্রুত শরীর বর্জ্য পদার্থ দূর করে দেয়া যার ফলে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা রাখে।

✪ সাম্প্রতিক গবেষণা ইশারা দেয় যে ডুমুর স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ৫%  মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের সম্ভবনা কম দেখা গেছে কারণ ডুমুরের  ত্বকে ফাইবার আছে এবং এটি তাদের খাদ্য তালিকাতে রয়েছে।

✪ ডুমুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। তাছাড়া এটি বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান।

✪ডুমুর হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ডুমুরের এন্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল দূরীভূত করে যা করোনারী ধমনী গুলোকে ব্লক করে  যেটা করোনারী হৃদরোগে অগ্রণী  ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ডুমুরে পটাসিয়াম, ওমেগা-৩ এস এবং ওমেগা-৬ এস এর উপস্থিতি হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।

✪ইনসুলিনের উপর নির্ভরশীল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ডুমুর ফল খুব উপকারী। শুধমাত্র ফল ই নয়, এর পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। ডুমুরের পাতায় অসাধারণ গুণাবলি রয়েছে যা আপনার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

✪ গর্ভবতী মা ও শিশুর রক্তশূন্যতা থেকে রক্ষা করে।শরীরের লৌহের ঘাটতির কারণে লৌহের অভাবজনিত রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।শুকনো ত্বীন বা ডুমুরে আয়রণ বা লৌহ থাকে যা হিমোগ্লোবিনের মূল উপাদান। শুকনো ডুমুর খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

✪ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে

✪ ডুমুর ফল বিশেষ করে মুখ,জিহ্বা ও ঠোট ফাটার সমস্যা নিরাময় করে।

✪অত্যাধিক ফাইবার থাকায় ডুমুর কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

✪ ত্বকীয় এই ফল আমাদের শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করতে সহায়তা করে।

✪গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ডুমুর হাঁপানী ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের চিকিৎসায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।ডুমুর মিউকাস ঝিল্লী কে আর্দ্র   রাখে এবং কফ নিঃসরণ করে বলে হাঁপানীর লক্ষণ  থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।এর ফাইটোকেমিক্যাল যৌগ ফ্রি রেডিকলের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাই আমাদের হাঁপানী হয়না।

✪ যাদের দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবারে সমস্যা বা নিষেধ রয়েছে তারা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে ফ্যাটযুক্ত ফল খান। কারণ হল ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে।

✪নিয়মিত ডুমুর সেবন উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে।যখন আপনি বেশি সোডিয়াম কিন্তু কম পটাশিয়াম খাবেন তখন শরীরে  সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য বাধাগ্রস্ত হবে যা উচ্চরক্তচাপ কে  প্রভাবিত করবে বা পথকে সুগম করবে।ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে বলে এটি এই ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।

✪ ডুমুরে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা হাড়ের সুস্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।এটি হাড়ের পুরুত্বের উন্নতি সাধন করে এবং হাড় ক্ষয় রোধ করে যা আপনার যে কোন শুরু বয়সেই হতে পারে।

✪নারী ও পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।ডুমুরকে যৌবন উর্বরতা ও যৌন শক্তির সম্পূরক হিসেবে মনে করা হয়।এগুলোতে  প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, লৌহ ও জিংক রয়েছে।এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও খনিজ পদার্থ রয়েছে যা যৌন হরমোন এন্ড্রোজেন ও ইস্ট্রোজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন।

✪শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট হ্রাস করে।

 

আমলকি (আমলা)

আমলকি (আমলা) :

আমলকি ইন্ডিয়া গুজবেরি এশিয়া উপমহাদেশে সাধারণত আমলা নামে পরিচিত। এটি নিঃসন্দেহে ভিটামিনের একটি  শক্তিঘর বলা যায়। আক্ষরিক অর্থে আমলকি টক জাতীয় ফল কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এটিতে টক, তিক্ততা এবং মিষ্টির একটি দারুণ সমন্বয় রয়েছে ।আমলকির ব্যবহার একটি দীর্ঘমেয়াদী আয়ুর্বেদী প্রতিকার হিসেবে পরিচিত রয়েছে। 

এছাড়াও আমলকিতে এমনকিছু উপাদান আছে যা স্বাস্থ্য বৃদ্ধিসহ ভিটামিন সি ও অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করে বলে মনে করা হয়। 

আমলা তে খুব কম পরিমাণ ক্যালরি এবং অনেক বেশি মাত্রায় ফাইবার আছে যা আমাদের স্থুলতা, হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

প্রতি ১ কাপ (১৫০ গ্রাম) আমলকি তে – পুষ্টি উপাদান::

পুষ্টি উপাদান-প্রতি ১৫০ গ্রাম আমলকি

Calories/ক্যালরিঃ ৬৬ গ্রাম
Carbs/কার্বসঃ ১৫ গ্রাম
Protein/প্রোটিনঃ ১ গ্রাম
Potassium/পটাশিয়ামঃ ৬% 
Sugar/চিনিঃ ৪.২ গ্রাম
Fiber/ফাইবারঃ ৭ গ্রাম
Fat/ফ্যাটঃ >১ গ্রাম ( ১ গ্রামের কম)
এ ছাড়া অন্যান্য ভিটামিন সমূহঃ ভিটামিন বি৫ঃ ৯% ভিটামিন বি৬ঃ ৭% ভিটামিন সিঃ ৪৬% (প্রতিদিনের খাদ্য তুলনায়) কপারঃ ১২% ম্যাঙ্গানিজঃ ৯% 

স্বাস্থ্যকর উপকারী দিকসমূহঃ

  • আমলা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা দেহের ফ্রি রেডিকলের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি কোষ ধ্বংস কমানোর পাশাপাশি ক্যান্সার ও প্রদাহের ঝুঁকি হ্রাস করে। কিছু গবেষণায় এটা দেখা যায় যে, আমলাতে এমনকিছু গুণ আছে যা ক্যান্সার চিকিৎসা ও এর প্রতিরোধের ক্ষেত্রে খুব উপকারী। আমলকি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
  • আমলা সাধারণ ভেষজ চিকিৎসা যেমন, অ্যাথেরোসক্লেরোসিস, ডায়াবেটিস, ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল, হাড়ের জয়েন্টে ব্যাথা এবং স্থূলতা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • আমলকি ডায়াবেটিক জিটলতার থেকে রক্ষা করতে পারে। আলকির গুড়া বা পাউডার ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমলকিতে বিদ্যমান ক্রোমিয়াম শরীরের ইনসুলিন কে সক্রিয় করে তোলে এবং রক্তের গ্লুকোজ লেভেল কে নিয়ন্ত্রণ করে।
  • আমলকির অন্যতম উপকারী দিক হল  এটিকে খাদ্যের এন্টিএজিং এর প্রথম ও প্রধান হিসেবে ধরা হয়।তাই বয়স কম দেখানো ও সুন্দর ত্বক তৈরীর গোপন রহস্যের পিছনে  প্রতিদিন আমলকি গ্রহণ করাকেই গণ্য করা হয়।
  • আমলকি পেটের এসিড লেভেল কমিয়ে দেয় এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
  • এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যার ফলে আপনি যে কোন সংক্রমকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন।
  • কিছু গবেষণায় দেখা যায় যে আমলকি দেহের উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির ত্বরান্বিতকরণ ও গতি রোধে সহায়তা করে।
  • আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড, ফেনোল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। এসব উপাদান বয়স সম্পর্কিত মস্তিষ্কজাত রোগ যেমন আলঝেইমার্স এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি  অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
  • আমলাকিতে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য এন্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনলস এবং পটাশিয়ামের মত মূল্যবান উপাদান থাকে। এ কারণে হার্ট ঠিকমত কাজ করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস  করতে পারে।