যষ্টিমধু

0
2576

যষ্টি মধু একটি এন্টি-ইনফ্লেমেটোরি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় তৃণলতা।এটি একটি অনেক পুরনো ব্যতিক্রমী স্বাস্থ্যসম্মত ঔষধী গাছ হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা মুলিথি বা যষ্টি মধু নামে পরিচিত। এই ওষধী গাছটি এশিয়া ও ইউরোপীয় মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়।ঔষধ ছাড়াও প্রাকৃতিক মিষ্টান্নের কারণে স্বাদের ফ্লেভার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিম্ন রক্তচাপের ক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী।

[the_ad_placement id=”adsense-in-feed”]

স্বাস্থ্যকর উপকারী দিকসমূহঃ

কিছু নথিতে বা প্রমাণে এটা বলা হয়েছে যে অল্প পরিমাণ যষ্টি মধু চিনি খাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা কমিয়ে দিতে পারে।

যষ্টি মধু এন্টি-ইনফ্লেমেটোরি, এন্টি-অ্যালার্জেনিক ও এন্টিভাইরাল এর মত উপাদান রয়েছে যেমন গ্লাইসিরিরিজিন এবং গ্লাইসাইরিথিটিক এসিড রয়েছে শ্বাসকষ্ট রোগীর জন্য বেশ উপকারী।

নিয়মিত যষ্টি মধু সেবনে দেহের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে।মূল উদ্ভিদে উপস্থিত এনজাইম কে ধন্যবাদ জানাই। কেননা এটি শরীরে লিম্ফোসাইট ও ম্যাক্রোফেজ তৈরীতে সহায়তা করে যা শরীরকে জীবাণু,দূষিত অ্যালার্জেন ও কোষের রোগ প্রতিরোধ করে যেগুলো অটোইমিউন রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

যষ্টি মধুতে রযেছে বিভিন্ন প্রদাহজনিত রোগ প্রতিরোধক উপাদান যা ক্রনিক প্রদাহ যেমন বাত রোগের চিকিৎসা করতে পারে।

যষ্টি মধু ঋতুস্রাবের সময় স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। এই ঔষধটি ফাইটোইস্ট্রোজনিকের মত জটিল রোগ যেমনঃ অনিদ্রা, হতাশা,মেজাজ খিটখিটে, অতি ঘর্ম ইত্যাদি রোগের সামন্জস্য সাধন করে।

যষ্টি মধু দাঁতের ক্ষয়রোধ করে এবং অন্যান্য মুখেে সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করে।

আয়ুর্বেদের ভাষায় “যষ্টি মধু” কে মস্তিষ্কের টনিক এবং পুনরুজ্জীবন হিসেবে বিবেচিত করা হয়। এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে এবং মস্তিষ্ক কে চাঙ্গা করতে সহায়তা করে। যষ্টি মধু চাপ শিথিল করে মাথা ঠান্ডা রাখা ও মনকে শান্ত রাখতে সহায়তা করে।