স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়। কোষ গুলো প্রথমে টিউমারে পরিণত হয়। স্তন টিউমার গুলো একসাথে এক্স-রে তে ধরা পড়ে অথবা চাকা বা পিণ্ডের মত অনুভূত হতে থাকে। স্তন ক্যান্সার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের হয়ে থাকে তবে পুরুষদেরও স্তন ক্যান্সার হতে পারে। এটি বোঝা অত্যাবশ্যক যে অধিকাংশ স্তন পিণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ না এবং ক্যান্সারের সংক্রমণ করে না। নন ক্যান্সরাস স্তন টিউমার হলো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, এগুলো শরীরের বাহিরে প্রসারিত হয় না। এগুলো জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ নয়, তবে কিছু ধরনের স্তন পিণ্ডের জন্য মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেকোনো স্তনের পিন্ড অথবা পরিবর্তন ডাক্তার কর্তৃক পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত যে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ ক্যান্সারের সংক্রমণ পিণ্ড কিনা এবং সেটি আপনার ভবিষ্যৎ ক্যান্সারের ঝুঁকি রাখে কিনা। অনেক সময় স্তন ক্যান্সার বাহুর নিচের লসিকা গ্রন্থি অথবা কলার বোন পর্যন্ত প্রশস্ত হতে পারে এবং সেখানে পিণ্ডের সৃষ্টি করে স্ফীত করে যেটি মূল টিউমারের থেকেও বড় অনুভূত হয়।
যেসব মহিলার বংশানুক্রমে স্তন ক্যান্সার আছে, এবং যাদের স্তন স্থূলকায় তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অত্যধিক বেশি । পিণ্ডের সৃষ্টি, চাকার মত, স্তন ত্বক পরিবর্তন, দুগ্ধ ক্ষরণ এবং ব্যথা হওয়া এ রোগের অন্যতম লক্ষণ।